কুঋণ এবং কুঋণ সঞ্চিতি সম্পর্কিত ব্যাসিক ধারণাঃ
কুঋণের সাথে দেনাদারের একদম গলায় গলায় সম্পর্ক। তাই আমাদের দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব কি জিনিস এইটা জানতে হবে?? তাহলে,, বলেন তো দেনাদার কি জিনিস বা কাকে বলে? মনে করেন আমি একটা পন্য বিক্রয় করলাম বাকিতে। তার ফলে কি হবে,,, আমার পন্যটা বিক্রি করছি কিন্তু আমি টাকা পায় নাই। এই যে আমি টাকা পায় নাই বা যার কাছ থেকে টাকা পাবো ওই ব্যাক্তিকেই দেনাদার বলে।
দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব যদি বুঝে থাকেন তাহলে এবার আসি কুঋণ এর কথায়। কুঋণ এই নামটা আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু আরেকটা নামে আমাদের পরীক্ষায় আসে। সেই নামটা বলতে পারেন? কুঋণের আরেকটা নাম অনাদায়ী পাওনা এবং সন্দেহ জনক পাওনা । এই নামে একাধিক বার প্রশ্ন এসেছে। আপনারা বিগত সাল দেখলে বুঝতে পারবেন। এই বার বলেন, কুঋণ কাকে বলে বা কুঋণ কি জিনিস??
দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাবের যেই টাকা টা কখনো পাওয়া যাবে না বা আদায় হবে না বলে ধরে নেওয়া হয় তাকে কুঋণ বলে। যেমনঃ মনে করেন আপনি একজন দোকানদার। তো আপনি আমাকে( সৌরভ) , বিপ্লব কে বাকি তে মাল দিছেন। একটা সময় দেখা যাচ্ছে বিপ্লব নামের লোকটা আপনার মালের টাকা টা পরিশোধ করে দিছে। তাহলে বিপ্লবের কাছে তো আপনি আর টাকা পাচ্ছেন না। কিন্তু আমি এখনো আপনাকে টাকা দেয় নাই। বা অনেক দিন হয়ে গেছে আমি দিব কি না সেই বিষয়ে আপনি কিছুই জানেন না। তখন দোকানদার ( আপনি) ধরে নিবেন যে সৌরভ নামক দেনাদারের কাছ থেকে আমি আর টাকা পাবো না। এই যে দেনাদারের যেই টাকা টা আপনি পাবেন না বা পাচ্ছেন না একেই বলে কুঋন।
আশা করি কুঋনের বিষয় টা ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এবার আসি, কুঋন সঞ্চিতিতে। কুঋন সঞ্চিতির আরেকটা নাম অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি এবং সন্দেহজনক পাওনা সঞ্চিতি। এবার বলেন কুঋণ সঞ্চিতি কি জিনিস বা কাকে বলে??? দেনাদারের যেই টাকা টা পাবেন না বলে ধরে নিচ্ছেন তাকে আমরা কি বলতেছি??? তাকে আমরা কুঋন বলতেছি। এখন বলেন তো এই কুঋণ টা আপনার ব্যবসার জন্য লাভ নাকি ক্ষতি?? অবশ্যই ক্ষতি। তার কারণ দেনাদারের কাছ থেকে আপনি টাকা পাবেন। আপনার প্রাপ্য টাকা আপনাকে দিচ্ছে না। তাহলে আপনার এবং আপনার ব্যবসায়ের জন্য অবশ্যই ক্ষতি হবে তাই তো। তো, আপনার ব্যবসা আপনি প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে রেখে কি চালাতে পারবেন? কখনোই না। ক্ষতি তে ব্যবসায় চালানো সম্ভব না। এই জন্য, এই ক্ষতি থেকে ব্যবসায় কে বাচানোর জন্য বছরের প্রথম থেকে কুঋন সঞ্চিতি বা অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি নামে একটা ফান্ড বা হিসাব খোলা হয়। যাতে করে কুঋনের ফলে আমার ব্যবসায় ক্ষতি তে পড়লে এই সঞ্চিতি হিসাবের টাকা টা নিয়ে সেই ক্ষতি পূরণ করা যায়।
পরবর্তী পর্বে কু- ঋণ এবং কু- ঋণের আরো বিস্তারিত আলোচনা এবং হিসাবভুক্ত করার নিয়ম নিয়ে আলোছনা করা হবে। আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
লিখেছেনঃ
সৌরভ তিমথি
এইচএসসি ২২ ব্যাচ।
You must be logged in to comment on this post. Login or Register